ফের রিমান্ডের খবরে নাসার নজরুল বললেন ‘হার্ট অ্যাটাক করব’
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩১
জুলাই আন্দোলনের আরেক মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আবারও তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নজরুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গোপন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী নজরুল ইসলাম এই মামলার অন্য সহযোগীদের অর্থায়ন ও উসকানি দিয়েছেন এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শুনানিতে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা বলেন, নজরুল ইসলাম এই মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হলেও ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তারা আরও জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় নজরুল ইসলাম দেশে ছিলেন না এবং তিনি একজন বয়স্ক, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি হওয়ায় মানবিক বিবেচনায় রিমান্ড বাতিল করা উচিত।
শুনানিতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নজরুল ইসলাম নিজেও আদালতের কাছে অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“আমি হার্টের রোগী। আমার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। জেলে বহুবার বুকে ব্যথা উঠেছে। চিকিৎসা চলছে। আবার রিমান্ডে নিলে আমি হার্ট অ্যাটাক করবো, স্যার।”
এসময় তিনি তার চিকিৎসার নথিও বিচারকের সামনে উপস্থাপন করেন এবং প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের বিরোধিতা করেননি, বরং ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বলেন,
“শেখ হাসিনা একদিনে ফ্যাসিস্ট সরকার হননি। আসামিরা অর্থ জোগান দিয়ে সেই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। নজরুল ইসলাম একজন অর্থ জোগানদাতা, তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড প্রয়োজন।”
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত নজরুল ইসলাম মজুমদারকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ জুলাই জুলাই আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুর বাটার গলি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কামাল হোসেন প্রকাশ সবুজ (৪০)। এ ঘটনায় এ বছরের ৭ জুলাই গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।