প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েই গ্রেফতার গৃহকর্মী আয়েশা
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার এবং তার স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
দীর্ঘদিন পর নিজের এলাকায় ফিরে আসেন রাব্বি এবং সঙ্গে ছিলেন আয়েশা, যাকে তিনি পরিবারকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। স্থানীয়দের ধারণা, তারা এলাকায় বেড়াতে আসেননি, বরং আত্মগোপনের উদ্দেশ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ সেখানে গিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানায়, বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে ধরে ফেলেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লায়লাকে আঘাত করে হত্যা করে। পরে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসা লায়লার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকেও একইভাবে হত্যা করে। ঘটনার পর আয়েশা স্কুলড্রেস পরে দ্রুত বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
রাব্বির দাবি অনুযায়ী, আয়েশার উদ্দেশ্য ছিল শুধু চুরি করা; ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সে মা–মেয়েকে হত্যা করে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা গেছে, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি এবং নাফিসার শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, যা ঘটনাটির নৃশংসতা স্পষ্ট করে।
তথ্য–প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আয়েশা ও রাব্বিকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়। তারা নলছিটি এলাকায় রাব্বির দাদা–শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
গত সোমবার সকালে রাজধানীর শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় মা–মেয়েকে হত্যা করা হয়, যা রাজধানীজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।