আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হলেন আদম তমিজী হক, তার বিরুদ্ধে কী মামলা হচ্ছে?

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:৩২

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হলেন ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চলছে মামলার প্রস্তুতি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আদম তমিজী হকের বিষয় নিয়ে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কার করার। আজ সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে।

ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার টানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ জানিয়েও পোস্টার টানিয়েছিলেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাই না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’

আদম তমিজী নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, প্রিয় শুভাকাঙ্খী, অনেকেই আপনারা এতদিন আমাকে ‘চুতিয়া’ ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দি‌কে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

আরও একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল এবং তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।

এ ছাড়া ফেসবুক লাইভে তিনি সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর মালিকানাধীন হক গ্রুপের টঙ্গীর কারখানা দখলের অভিযোগ তোলেন। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বিব্রত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই মহানগর আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top