• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ইসরায়েলি হামলায় ৭২৪ শিশুসহ ২২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত ! যেন মৃত্যুনগরী !

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার ২১৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭২৪ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আট হাজার ৭১৪ জন। অপরদিকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত তিন হাজার ৪০০ জন।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে শনিবার (১৪ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭১৪ জনে। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৪৫০ জন শিশু এবং এক হাজার ৫৩৬ জন নারী।

গেলো ০৭ অক্টোবর (শনিবার) সকালে অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পাশাপাশি ইসরাইলের ভেতরে সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় ওই দিনই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।

এর আগে, ০৬ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনি তরুণের দাফন অনুষ্ঠানে হামলা চালায় ইহুদিবাদীরা। এরপর শনিবার সকালের দিকে হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এই রকেট হামলা শুরু করে।

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। গাজায় প্রতি মুহূর্তে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে বহু শিশু, যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসপাতালের বিছানায়। মিসাইলের আঘাতে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে লড়ছে মৃত্যুর সাথে। হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা কর্মীরা।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top