সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাপানি যুদ্ধবিমানকে নিশানা করে চীনের ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৩

সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক জলসীমায় ওকিনাওয়া দ্বীপের কাছে টহলরত অবস্থায় জাপানের যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্য করে চীন ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার নির্দেশ করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি নিয়ে টোকিও ইতোমধ্যেই বেইজিংকে ‘কঠোর প্রতিবাদ’ জানিয়েছে এবং পুনরাবৃত্তি রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

এক্সে দেওয়া পোস্টে কোইজুমি বলেন, “এই রাডার নির্দেশনা নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার সীমা অতিক্রম করেছে এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক।”

ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার লক সাধারণত আক্রমণের পূর্ব সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, যা প্রতিপক্ষের বিমানকে তাৎক্ষণিক প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।

এ ঘটনায় পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে চীন। তারা জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ চলাকালে জাপানি স্বয়ংরক্ষাবাহিনীর বিমান তাদের নৌবহরের কাছে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করে ‘বাধা সৃষ্টি করেছে’। জাপানের অভিযোগকে ‘তথ্যগতভাবে অসংগত’ বলেও উল্লেখ করেছে বেইজিং।

ওকিনাওয়ার নিকটবর্তী এলাকাটি চীন ও জাপান উভয়ের দাবি করা বিতর্কিত অঞ্চলের কাছে অবস্থিত। আল জাজিরা বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে গুরুতর সামরিক মুখোমুখি অবস্থান।

সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ঘোষণা করেন, তাইওয়ানকে ঘিরে চীন সামরিক পদক্ষেপ নিলে এবং তা জাপানের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করলে টোকিওও পদক্ষেপ নিতে পারে। এর জেরেই দুই দেশের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

তাইওয়ান জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপ থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরে—যা বেইজিং নিজেদের অংশ বলে দাবি করে।

কোইজুমি আরও জানান, ঘটনায় জড়িত চীনা জে-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো লিয়াওনিং বিমানবাহী রণতরি থেকে উড্ডয়ন করেছিল, যা সে সময় তিনটি মিসাইল ডেস্ট্রয়ারসহ ওকিনাওয়ার দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top