• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সংকটে বাগেরহাটের পান চাষিরা

বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৫৫

ছবি: নিউজফ্ল্যাশ৭১

প্রকৃতির বৈরী আচরণে বাগেরহাটের পান চাষিরা নতুন সংকটে পড়েছে। তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বাগেরহাট জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল পান বরাজ গুলোতে দেখা দিয়েছে নানা রোগ।

গত অক্টোবর মাসে ভারি বর্ষণের পর সৃষ্ট বন্যায় জেলার পান বরাজ প্লাবিত হয়েছিল। পঁচে গিয়েছিল পানের বরজ। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পান গাছের পাতা হলুদ হয়ে ঝড়ে পরা ও পাতা পঁচা রোগসহ ছত্রাকের আক্রমণে বিপাকে পড়েছে জেলার পান চাষিরা।

এ অবস্থায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জেলা কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগের কথা বলা হচ্ছে। তবে কৃষকরা বলছে ঘনকুয়াশার কারণে বরাজে ওষুধ ছিটিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না তারা।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাগেরহাট জেলায় ১১শ ৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৩৫ হেক্টর, চিতলমারি উপজেলায় ৩৯ হেক্টর, ফকিরহাট উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর, মোল্লাহাট উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হেক্টর, শরণখোলা উপজেলায় ১০ হেক্টর, কচুয়া উপজেলায় ৫ হেক্টর ও রামপাল উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের দেওয়ানবাটি গ্রামের মানিক পাল বলেন, 'সমিতি দিয়ে টাকা ওঠায়ে ১৫ কাঠা জমিতে পানের বরাজ করিছি। কয়েক মাস আগে যে বৃষ্টি হইলো, তাতে আমার বরাজও ডুবে গেইলও। সে সমস্যা যাতি না যাতি কয়েকদিন ধইরে যে ঠাণ্ডা পরতিছে, তাতে পানের পাতা সব হলুদ হয়ে ঝইড়ে পরতিছে। এত কুয়াশার কারণে পান গাছের পাতায় কালা কালা দাগ পইরে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এখন আমি কি করবো, সমিতির কিস্তির টাহাই বা দেবো কিরাম করে”।

ফকিরহাট উপজেলার টাউন নোয়াপাড়া গ্রামের শওকত শেখ বলেন, 'প্রতি বছরই, শীতির সময় কমবেশি পান গাছে পাতা ঝড়ে পড়ে। তবে এবার শীত একটু বেশি পড়ছে, সাথে আবার কুয়াশা। বছরে পর পর তিন বারের এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।'

জেলার সবচেয়ে বড় পানের পাইকারি বাজার হলো ফকিরহাটের টাউন নোয়াপাড়া বাজার। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকার পান কিনতে আসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক-ডাউন সময়ে ভালো দাম থাকলেও পাইকারী ক্রেতা ছিলো না। ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে যায়। পুনরায় ঋণ নিয়ে বরজ শুরু করলে নতুন করে ঘন কুয়াশা ও শীতে ছত্রাক সংক্রমণ এবং পাতা পাকা রোগে বিপাকে পড়েছে পান চাষিরা।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে পান পাতা হলুদ হয়ে ঝড়ে পড়াসহ ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দেয়। শীতের তীব্রতা ও কুয়াশার পরিমাণর বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সমস্যা গুলো বাড়তে থাকে। এসময় পান পাতায় ছত্রাকজনিত কালো দাগও দেখা যায়। তবে এ সমস্যা সমাধানে আমরা কৃষকদের বরাজের ভিতরে কুয়াশা যাতে না ঢুকতে পারে সে জন্য পলিথিন বা নেটজাল দিয়ে ছাউনি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া বরাজে ছত্রাকের আক্রমণ রুখতে কৃষকদের নিয়মিত ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২০




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top