মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ১৫ মাসেও সংস্কার হয়নি
স্টাফ রিপোটার, ঢাকা | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৩
মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স, যেখানে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল, আজ তার পূর্ণ সৌন্দর্য হারিয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের সময় কমপ্লেক্সের তিন শতাধিক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের ছোট ছোট ভাস্কর্য নষ্ট হয়েছে এবং স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকও ধ্বংস করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, “ইতিহাস কখনও মোছা যায় না। মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই। গত বছরের ক্ষতিপূরণের কাজ হবে এবং এখানে কোনো ইতিহাস আরোপ করা হবে না।”
কমপ্লেক্সের কেয়ারটেকার সুভাষ মল্লিক জানান, হামলার সময় আনসার সদস্যরা কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে যান এবং পুলিশও উপস্থিত থাকেনি। ফলে লাইট, সিসি ক্যামেরা, ব্যাটারি, পানির পাম্পসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট হয়।
গণপূর্ত বিভাগের তদারকি অনুযায়ী, কমপ্লেক্সে ৬০০টি ভাস্কর্যের মধ্যে অন্তত ২০০টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সামনের অংশের বড় ভাস্কর্যের ৬৫টি এবং পূর্ব গ্যালারির ৩৫টি ভাস্কর্য নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ৫০০টি আলোকসজ্জা এবং ২০টি সিসি ক্যামেরা লুট হয়েছে।
মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিমুদ্দিন শেখ বলেন, “মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স রাষ্ট্রের সম্পদ, একক দলের নয়। দেশের সব দলের উচিত এটি সংরক্ষণ করা।”
গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার একটি টিম পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে সংস্কারে ৬০ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল জানান, কমপ্লেক্সে সরকারের চারটি দপ্তর কাজ করছে। বর্তমানে ৬০ আনসার সদস্য ও ১৫ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।