পঞ্চগড় ও উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৬
হিমালয় অঞ্চল থেকে প্রবাহিত শীতল বাতাসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে এলাকার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও ঘন কুয়াশার দেখা মেলেনি। সকাল গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদ উঠলেও শীতের দাপট কমেনি।
রাজধানীবাসী এখনও পুরোপুরি শীতের আমেজ অনুভব করতে পারছে না। দিনের বেলা সূর্যের তীব্রতা থাকলেও শীত কনকনে অবস্থায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত আরও বাড়বে এবং শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে।
আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, “বছরের বাকি সময়ে উপকূলে আর কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। ডিসেম্বরের সমুদ্র তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে অনুকূল নয়।”
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা অব্যাহত; রাস্তাঘাট সকালে কনকনে ঠান্ডার কারণে ফাঁকা থাকে। গতকাল (৩০ নভেম্বর) জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য কম।
নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট চলাচলে বিলম্ব হয়েছে। জরুরি কাজে ঢাকায় যাওয়া যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার হলে ফ্লাইট স্বাভাবিক হবে; আপাতত কোনো ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেই।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, “শীত ধীরে ধীরে নেমে আসছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
শৈত্যপ্রবাহের সময় দেশের বড় অংশে শীত তীব্র হয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবন, পরিবহন ও কৃষিকাজে প্রভাব ফেলবে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।