ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০১
পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮টি সদ্যোজাত কুকুরছানাকে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত নারীর স্বামী ও ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে তার বরাদ্দ সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোয়ার্টার খালি করতে বলা হয়।
অভিযুক্ত নিশি বেগম ও তার স্বামী ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরের আবাসিক এলাকায় কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। এর আগে রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর কুকুরছানাগুলোকে ওই আবাসিক এলাকার পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর জানান, মা কুকুরটি ৮টি ছানা প্রসবের পর সেগুলো হঠাৎ নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত অবধি মা কুকুরটি ডাকাডাকি করে বিভিন্ন বাড়ির সামনে ঘুরে বেড়ায়। পরদিন সকালে কুকুরছানার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের ছেলে বলে, তার মা নিশি বেগম বাজারের ব্যাগে ছানাগুলো ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পরে পুকুর থেকে মুখ বাঁধা বস্তা উদ্ধার করলে তাতে মৃত কুকুরছানাগুলো পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত নিশি বেগম দাবি করেন, কুকুরছানাগুলো বাসার সিঁড়ির পাশে বিরক্ত করায় তিনি ব্যাগে ভরে পুকুরপাড়ে একটি গাছের পাশে রেখে আসেন এবং সেগুলো কীভাবে পুকুরে পড়েছে, তা তার জানা নেই।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। অসুস্থ হয়ে পড়া মা কুকুরটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী এ ঘটনায় মামলা করার বিধান রয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এটি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এক দিনের মধ্যে সরকারি বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, মা কুকুরটির চিকিৎসার দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।