টাঙ্গাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোটার, ঢাকা | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩২
সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা আর্থিকভাবে সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারি টাকা আদায় করছেন।
স্থানীয় প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, গত ২৮ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি ধার্য সংক্রান্ত অনলাইনে মতামত চাওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ২০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণির জন্য ৪০ টাকা এবং পঞ্চম শ্রেণির জন্য ৫০ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব থাকলেও প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগেই টাকা আদায় শুরু হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগের পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন ২৪ নভেম্বর ছয়টি নির্দেশনা জারি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পরীক্ষার সঠিক সময়সূচি অনুসরণ, শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র সিলগালা ও গোপনীয়তা রক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ। তবে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকারিয়া হায়দার এই নির্দেশনা মানছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আদায়কৃত ফির মধ্যে ১৫ টাকা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হয়। এছাড়া মডেল বৃত্তি পরীক্ষার ওএমআর শিটের জন্য ৩০ টাকা করে নিয়মবহির্ভূতভাবে নেওয়া হয়েছে।
এক অভিভাবক লাল চান বলেন, “সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করাতে বাধ্য হয়েছি। পরীক্ষার ফি দিতে না চাইলে ছেলে পরীক্ষা দিতে পারবে না বলার কারণে ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।”
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকারিয়া হায়দার অভিযোগের জবাবে বলেন, “পরীক্ষার ফি নেওয়ার জন্য আমরা লিখিত অনুমতি পাইনি। মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। এছাড়া প্রশ্নপত্র সিলগালা ও গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সরকারি বরাদ্দ না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে আমরা কিছু করতে পারি না।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।