বগুড়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের চার ঘণ্টার কর্মবিরতি
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২১
বগুড়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চাকরি শুরুতে দশম গ্রেড কর্মকর্তা পদমর্যাদা বাস্তবায়নের দাবিতে একযোগে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। দ্রুত দাবি মানা না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবসের শাটডাউন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি শুরু হয়। এতে শজিমেক হাসপাতালসহ জেলার সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ব্লাড ব্যাংকসহ জরুরি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগীরা বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন, ফলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচিটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। শজিমেক হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, টিবি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
নেতারা অভিযোগ করেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ডিপ্লোমা নার্স, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা চাকরিতে যোগদানের সময় দশম গ্রেড কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত, যেখানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের চাকরি শুরু ও শেষ করতে হয় ১১তম গ্রেডে, যা স্বাস্থ্য খাতে চরম বৈষম্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণদিবসের শাটডাউন হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট এরশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আহমেদ আলী, ইয়াকুব, বদিউজ্জামান, আব্দুল মান্নান, সোহান তালুকদার, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর, আশরাফুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, আব্দুস সাত্তার, ফিরোজ আহম্মেদ, আফজাল হোসেন, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।