শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর মা-ছেলেকে হস্তান্তর, পাচারকারী আটক

রাবিক ইসলাম | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ পথে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া এক মা ও ছেলেকে ভারতের বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজিবি'র কাছে হস্তান্তর করেছে।

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মোঃ রিপন মিয়া নামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) আওতাধীন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী বিওপি।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে আটক ওই পাচারকারীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজিবি জানায়, টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার কানুর বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মমতা হালদার ও তার ছেলে হৃত্তিক হালদারকে বিকেল শুক্রবার ( ৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ভারতের শিলিগুড়িতে অসুস্থ দাদিকে দেখার উদ্দেশ্যে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে মানবপাচারকারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
তথ্য পেয়ে পাচারকারী গ্রেপ্তার
অনুপ্রবেশকারীরা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার পাঁচ সদস্যের একটি মানবপাচারকারী চক্রের জড়িত থাকার তথ্য দেন।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পানবাড়ি বিওপির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩:৪০ মিনিটে দহগ্রামের পাবনাপাড়া নামক স্থান থেকে চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ রিপন মিয়া (১৮) কে আটক করতে সক্ষম হয়। রিপন মিয়া উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মোঃ রোহিদুলের ছেলে।

মেইন পিলার ৮১২ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাকে আটক করা হয়। আটক রিপন অবৈধ অনুপ্রবেশে সহায়তার কথা স্বীকার করেছে।

এ সময় চক্রের অন্য চার সদস্য, মোঃ আজিজুল (২৫), নবিউল (৩০), হাপ্পি (২৮) এবং বেল্লাল হোসেন (৩৫) পালিয়ে যায়। সকলেই পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বঙ্গের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আটক পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদেরকে তাঁদের মালামালসহ পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়েরপূর্বক হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে, পলাতক চারজন আসামির বিরুদ্ধেও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে রংপুর (৫১ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন বলেন, রংপুর (৫১ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার, নজরদারী বৃদ্ধি, চেকপোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান নিরোধ এবং আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমনে কঠোর নজরদারী বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ ও পুশইন রোধে টহল তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top