সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁচতে চান বিজয়

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৫২

সংগৃহীত

সংসারের সচ্ছলতার আশায় মাত্র ১০ মাস আগে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার আন্দিরাপাড়া গ্রামের বিজয় বাদ্যকর। নরসুন্দরের কাজ করে সংসার চালানো বিজয়ের স্বপ্ন ছিল পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো। কিন্তু পাঁচ মাসের মাথায় পাইলসের অপারেশনের পর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে স্বপ্ন ভেঙে যায় ভয়াবহ বাস্তবতায়।

দেশে ফিরে এখন স্ত্রী, ছয় বছরের জমজ কন্যা ও ১৪ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে ঠিক মতো দাঁড়াতে বা বসতেও পারছেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসে কাতরাচ্ছেন বিজয়। পিঠের ব্যথা দিন দিন বাড়ছে। টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসাই চালাতে পারছেন না।

স্থানীয়রা জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় বিজয় পরিবারিকভাবে হতদরিদ্র। বাসাইল স্ট্যান্ডে একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন তিনি। দারিদ্র্যের কারণে ঋণ করে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার পর পাইলসের অপারেশন করানো হয়। দুই মাস পরই ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর আগস্টে দেশে ফিরে আসেন।

বিজয় বাদ্যকর বলেন, “দারিদ্রতার কারণে বিদেশে গিয়েছিলাম। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দেশে আসছি। এখন দিনে দিনে অসুস্থতা বাড়ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। ৬ বছরের দুই মেয়ে ও ১৪ মাসের ছেলে—তাদের ঠিক মতো খাওয়াতেও পারছি না। বাধ্য হয়ে মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে হয়েছে।”

মানবেতর জীবন কাটানো এই ব্যক্তি অসহায়ভাবে বলেন, “আপনারা যদি আমার বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে একটু সাহায্য করেন, তাহলে বাঁচতে পারব। নিজের জন্য না, সন্তানদের জন্য বাঁচতে চাই।”

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top