মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মাদক ও ডিজিটাল আসক্তিমুক্ত সমাজ গঠন:

ডুমুরিয়ায় শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

এস কে বাপ্পি খুলনা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

“মাদক পরিহার করুন, নিজে বাঁচুন, আগামী প্রজন্মকে বাঁচান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনার ডুমুরিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার আয়োজনে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মোঃ ফেরদৌস খান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা, মানবতাবাদী এ্যাডভোকেট শেখ অলিউল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (প্রশাসন) ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ হুসাইন শওকত।
সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন:

  • পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিবিআই খুলনা (পিপিএম সেবা)

  • প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলম, পরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্র খুলনা

প্রধান আলোচক ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আহসানুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:

  • বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার সংস্থার প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তফা বিলাল

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ রাকিবুজ্জামান সরদার

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন—একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া অত্যন্ত জরুরি। যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহ করালগ্রাস থেকে রক্ষায় পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তারা জানান—মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে, মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ও উপদেশ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাদক ও ডিজিটাল আসক্তি বিষয়ে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বক্তারা আরও বলেন—মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মরণব্যাধি। মাদক প্রতিরোধে প্রয়োজন শিক্ষা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবার–বিদ্যালয়–সমাজের যৌথ প্রচেষ্টা। “মাদককে না বলুন” প্রচারণাকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top