• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ভোলায় ৩০ সিন্ডিকেটের দখলে জাটকা ব্যবসা

ভোলা থেকে | প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১৫:১৭

ভোলায় ৩০ সিন্ডিকেটের দখলে জাটকা ব্যবসা

ভোলায় জাটকা ব্যবসা ৩০ সিন্ডিকেটের দখলে। জেলার শাহবাজপুর চ্যানেলে সর্বাধিক ইলিশ ডিম ছাড়ার ফলে জাটকায় (ইলিশ প্রজাতি) সয়লাব মেঘনা নদী। সুযোগে ইলিশ থেকে মনপুরা পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট নিষিদ্ধ জাল পেতে নিধন করা হচ্ছে ইলিশের পোনা জাটকা।

মৎস্য ও কোস্টগার্ডকে ম্যানেজ করেই এ কাজে জড়িত রয়েছে জেলার প্রভাবশালী ৩০ জন। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জাটকা নিধন করে চলেছে। এসব জাটকা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার ও বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫ কেজি ওজনের এক ঝুড়ি মাছ দুইশ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার ইলিশ প্রজাতি বিনষ্ট করা হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজাহারুল হক জানান, তাদের জনবল সংকট রয়েছে। তার পরেও তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানান মৎস্য কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশ ফারুক বেপারীর ঘাট, কাচিয়া ও দৌলতখানা সীমানার মদনপুর চর এলাকায় জামাল সকেট গ্রুপ, দৌলতখান চৌকিঘাট, সৈয়দপুর চর, হাকিমউদ্দিন চর রয়েছে ৫ প্রভাবশালী ও মনপুরার উপজেলার গোটা নদীজুড়েই চলছে বিন্দি ও খুঁটিজাল ফেলার রমরমা ব্যবসা।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের সেল্টারে তজুমদ্দিন এলাকার আমন মহাজন গ্রুপের রয়েছে প্রকাশ্যে মাছ ধরার ব্যবসা। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের কমপক্ষে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড় জাল, বিন্দিজাল, খুঁটিজাল ফেলা হয়। এসব জাল পাতা নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, ইলিশ প্রজাতি এভাবে ধ্বংস না হলে, ইলিশ উৎপাদন দ্বিগুণ হতো। ইউএনও মো. কাওছার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছেন। নদীতে বসানো খুঁটি উৎখাত করতে ব্যাপক জনবল প্রয়োজন।

ওই অভিযানও চালানো হবে শিগগিরই। ইউপি চেয়ারম্যানদের মাছের ব্যবসা থাকার বিষয় স্বীকার করে মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা রহমান চৌধুরী জানান, তবে জাটকা ধরছে এক শ্রেণির জেলে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা বৈঠক করেছেন। তিনিও কোস্টগার্ডকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top