ঝগড়া থামাতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু

দিনাজপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২১, ০০:২২

চিরিরবন্দরে ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাজমুল নামে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু

চিরিরবন্দরে দু'পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাজমুল (৪০) নামে এক ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু ও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সহিত জড়িত থাকার সুবাদে ৬ জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি (১৫ মে) শনিবার সকাল আনুমানিক ৬ টায় উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে কুতুবডাঙ্গা হতে বেলতলী বাজার রাস্তার উপরে দূর্গাপুর এলাকায় ঘটেছে।

জানা গেছে, স্কুল এন্ড কলেজের পিছনেই দূর্গাপুর এলাকায় বসবাসরত বয়োবৃদ্ধ মোঃ আজোমদ্দিনের এর সঙ্গে প্রতিবেশী ময়নুল ইসলামের গরুর গোবরের ডালিকে কেন্দ্র করে ১৪ মে শুক্রবার ঈদের দিন বিকেল থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কুতুবডাঙ্গা হতে বেলতলী বাজার রাস্তার উপরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় প্রতিবেশী অফুর শাহের পুত্র দিনমজুর তাজে-মুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসলে ময়নুল ইসলামের পক্ষের শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ও প্রতিপক্ষ বয়োবৃদ্ধ আজোমদ্দিন, তার মেয়ে বুলবুলি আকতার ও নাতি সুমন ইসলাম গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে এসময় ময়নুল ইসলামসহ তার পুত্র শাহাজাহান আলী , শাহিন আলী, মেয়ে মমতাজ বেগম, মেয়ে জামাই সেরাজ উদ্দিন ও স্ত্রী শাহনাজ বেগম কে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়। থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক ও মরদেহের সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী উম্মে কুলসুম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীদের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: দিনাজপুর


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top