গুরুতর অর্থ সংকটে জাতিসংঘ, কমানো হচ্ছে ১৪ হাজার শান্তিরক্ষী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৭

গুরুতর আর্থিক সংকটের কারণে জাতিসংঘ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রায় ৬০ হাজারের মতো শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন। নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা মোট বাহিনীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পাবে। এতে শুধু সেনা-পুলিশই নয়, বহু বেসামরিক কর্মীর চাকরিও ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, সংস্থাটি তার ৮০তম বর্ষে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছে। তিনি বলেন, “আমরা কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় কমানোর নতুন উপায় খুঁজছি।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সর্বোচ্চ অর্থদাতা যুক্তরাষ্ট্র, যারা মোট বাজেটের প্রায় ২৬ শতাংশ বহন করে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন দেয় ২৪ শতাংশ অর্থ।
কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রেখেছে, যার ফলে তীব্র অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন অর্থবছরের শুরুতেই দেশটির ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল; এর সঙ্গে এখন আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে, তবে দেশটির জাতিসংঘ মিশন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
২০২৪ ও ২০২৫ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার শান্তিরক্ষা তহবিল বাতিল করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসনের বাজেট দপ্তর ২০২৬ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সব তহবিল বাতিলের প্রস্তাবও দিয়েছে।
তাদের মতে, মালি, লেবানন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে পরিচালিত মিশনগুলো “ব্যর্থ” হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত এলাকা (ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্ত) এবং আবিয়াই (দক্ষিণ সুদান-সুদান সীমান্তবর্তী এলাকা)– এসব স্থানের মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উল্লেখ্য, এই মিশনগুলোর বেশ কয়েকটিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরাও নিয়োজিত আছেন।
সূত্র: রয়টার্স
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।