থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ চতুর্থ দিনে, দুইপক্ষের বেসামরিক হতাহতের খবর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৬
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সীমান্ত সংঘর্ষ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। যদিও উভয় পক্ষই শান্তি কামনার কথা বলছে, পরিস্থিতি স্থির হচ্ছে না এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের অপেক্ষায় আছে। খবর আলজাজিরার।
বৃহস্পতিবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, ভারী লড়াইয়ের মধ্যে তিন জন থাই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নতুন সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এটি তাদের প্রথম বেসামরিক হতাহতের ঘটনা। এ সপ্তাহে মোট আট থাই সেনা নিহত এবং আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার পর্যন্ত সীমান্তের কম্বোডিয়া অংশে ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন নবজাতকও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে থাই সেনাবাহিনী তাদের ভূখণ্ডে একাধিক হামলা চালিয়েছে। পারস্যাত, বন্তায়ি মিনচে এবং ওড্ডার মিনচে প্রদেশে ট্যাংক ও আর্টিলারি ব্যবহার করে আক্রমণ করা হয়েছে। বিশেষ করে বন্তায়ি মিনচের প্রেই চান গ্রামে বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের সমতুল্য বলে দাবি করেছে কম্বোডিয়া।
এছাড়া, থাই বাহিনী খনার মন্দির এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে এবং ও’সমাছ এলাকায়ও আর্টিলারি ফায়ার চালিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাইল্যান্ডকে সব শত্রুতামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, সৈন্যদের কম্বোডিয়ার ভূখণ্ড থেকে সরাতে হবে এবং এমন আগ্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে যা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে।
বুধবার সীমান্তের ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত অংশজুড়ে ডজনের বেশি স্থানে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। জুলাইয়ে পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর এটি সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতী সংঘর্ষ, যেখানে দুই দেশের বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হওয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত সংঘাত যদি এখনই থামানো না যায়, তাহলে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।