পাকিস্তান লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি সম্পন্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:১৪
পাকিস্তান লিবিয়ার লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)-র সঙ্গে ৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে। দেশটির চারজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার কারণে এই চুক্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব লিবিয়ার বেনগাজিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও এলএনএর ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ সাদ্দাম খলিফা হাফতারের বৈঠকের পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি।
চুক্তির খসড়া নথিতে উল্লেখ আছে, এতে ১৬টি জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্ত। জেএফ-১৭ হলো পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে উন্নীত একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এছাড়াও স্থল, নৌ ও আকাশ তিন ক্ষেত্রের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে, যা দুই বছর ছয় মাসের মধ্যে বিতরণ করা হতে পারে।
চুক্তির মূল্য চার কর্মকর্তার মধ্যে দুজনের মতে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর অপর দুজনের মতে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন ডলার।
এলএনএর সরকারি মিডিয়া চ্যানেল জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে অস্ত্র ক্রয়, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং সামরিক উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আল-হাদাথ টেলিভিশনে হাফতার বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো।”
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত গণঅভ্যুত্থানের পর লিবিয়া রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে বিভক্ত। পশ্চিম লিবিয়ায় জাতিসংঘ-স্বীকৃত জাতীয় ঐক্য সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখে, আর হাফতারের এলএনএ তেলসমৃদ্ধ পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি আন্তর্জাতিক নজরের মুখে পড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।